সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার(৭ ফেব্রুয়ারি)।
কাল নির্বাচনের আগেই আজ রবিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিম ঢেমশায় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের জিন্নাহ’র বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের জিন্নাহ সহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
আজ সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রিদুয়ানুল হক সুমনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহের জিন্নাহ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিদুয়ানুল হক সুমন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু তাহের জিন্নাহ বলেন, “আমি সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উঠানে বসে এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের সাথে কথা বলছিলাম। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রিদুয়ানুল হক সুমনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক এসে আমাকে গালিগালাজ করে। তখন আমি প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বাড়ির উঠানে থাকা অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও আমার বসতঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ও ঘরের কাঁচ ভাঙচুর করে। এসময় তারা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এসময় আমি ছাড়াও আমার বড় ভাই হুমায়ুন কবির ও আবু কালাম আহত হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “এখন তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।”
এদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহের জিন্নাহ’র বাড়িতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিদুয়ানুল হক সুমন বলেন, “আবু তাহের জিন্নাহ’র লোকজন আমার ৯নং ওয়ার্ডের ১ জন এজেন্টকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও লোকজনকে সাথে নিয়ে আমার এজেন্টকে উদ্ধার করতে যাই। তখন আবু তাহের জিন্নাহ’র লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আমি নির্বাচন করতে এসেছি, মারামারি করতে নয়। আবু তাহের জিন্নাহ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবদুল জলিল বলেন, “আবু তাহের জিন্নাহ’র বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”












