উচ্চাঙ্গ সংগীতের সুরে মজলেন শ্রোতারা

সদারঙ্গের রজতজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিন

| শনিবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

শাস্ত্রীয় সংগীতের রসগ্রহণের প্রভাবে সুকুমার মানবীয় চিত্তবৃত্তির উদ্বোধন ঘটে। যা সদারঙ্গ চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। একসময় অভিভাবকরা চাইতেন, আমার সন্তান আগে মানুষ হোক। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত পণ্ডিত বারীণ মজুমদার স্মরণে সদারঙ্গের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনের ‘সমকালীন বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রফেসর ড. অসিত রায়। আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। এর আগে সকাল ৯টায় তৃতীয় তথা প্রভাতী অধিবেশনে সকালের রাগ পরিবেশিত হয়। বংশীধ্বনির শিল্পীদের সমবেত রাগ যোগ রাগের সুরে বংশীবাদনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের পঞ্চম অধিবেশন শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী রণধীর দাশ। তবলার একক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন শিল্পী সমীর আচার্য। হারমোনিনে নাগমা বাজান শিল্পী প্রত্যয় বড়ুয়া। নারায়ণগঞ্জের ধ্রুপদ শিল্পী ড. ঋতুপর্ণা চক্রবর্ত্তীর ধ্রুপদ পরিবেশনা উপস্থিত দর্শককে মুগ্ধ করেন। পাখোয়াজে ছিলেন সুশেন কুমার রায়। হারমোনিয়ামে ছিলেন শিল্পী নরেন চক্রবর্ত্তী। তানপুরায় ছিলেন সম্পূর্না চক্রবর্ত্তী। শিল্পী দোলন কানুনগোর মোহন বীনা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানমালা শেষ হয়। আজ সম্মেলনের সমাপনী দিন বিকেল ৪টায় থাকছে সদারঙ্গের প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্য, উপদেষ্টা, পৃষ্ঠপোষক, শুভানুধ্যায়ীদের স্মৃতিচারণ পর্ব। সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনপুরায় চিকিৎসা সেবা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়
পরবর্তী নিবন্ধএরশাদের স্বপ্নপূরণে জাতীয় যুব সংহতিকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে