মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ে আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে ‘ঠান্ডা মাথায়, ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিতভাবে এ খুন করা হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন।
রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ার সময় আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছি শুরু থেকেই। কেননা আমার মনে খটকা লেগেছিল, সিনহার পরিচয় জানার পর স্যালুট দিয়েছিলেন চেকপোস্টে থাকা সদস্যরা। এর একটু পর তাঁরাই কেন আবার গুলি করতে সহযোগিতা করলেন।
বিডিনিউজ জানায়, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রায়ে অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। সেই ষড়যন্ত্র হয়েছে, যে অপরাধগুলো আসামিরা আগে করেছেন, তা ঢাকা দিতে। তারা মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন, – এসব তথ্য পেয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর তিনি এসব বিষয়ে ভিডিও ধারণ করেন। তখন তাকে হুমকি দেওয়া হয় কঙবাজার ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু তিনি এলাকা ছেড়ে যাননি। সে কারণে পরিকল্পনা করে অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে লিয়াকতের সাথে মিলে এপিবিএন চেকপোস্টে প্রথমে মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’ আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্র, সাক্ষ্য, আসামিদের সাক্ষ্য ও জবানবন্দিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা বারবার এসেছে জানিয়ে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘এতেই অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রমাণিত।’