কক্সবাজারের আলোচিত সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে প্রধান দুই আসামির সর্বোচ্চ সাজা হলেও সাত আসামি খালাস পাওয়ায় পুরো প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তার বড় বোন, এ মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের। গতকাল সোমবার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, সেদিনই আমরা সন্তুষ্ট হব, যেদিন সাজা কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজের। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর একদল তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কীভাবে বন্দুকযুদ্ধ সাজিয়ে খুন করে যাচ্ছিলেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ভাই খুন হওয়ার পর ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয়জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন শারমিন। তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিচার শুরু করে আদালত।
গতকাল সেই মামলার রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য ও তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর প্রশ্নে সিনহার বোন বলেন, প্রথম থেকে আমরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছি। সেটা আজকে রায়ে দেখেছি, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তবে যে সাতজন একদম খালাস পেয়েছেন, তাদের কিছুটা সাজা হলেও দেওয়া যেত। কারণ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। সেটা হলে প্রত্যাশা বেশি পূরণ হত। সাতজনের খালাসের বিরুদ্ধে আপলি করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।