সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে ‘ইংরেজি ভাষায় লেখা সাইনবোর্ডের স্থলে বাংলা হরফে লেখা সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আজ মঙ্গলবার মঙ্গলবার সকালে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আজাদীকে মেয়র বলেন, আগেও আমরা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাইনবোর্ডে বাংলার ব্যবহার করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছিলাম। কাল (আজ) থেকে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। কোথাও ইংরেজি ভাষার সাইনবোর্ড দেখলে তা মুছে দেয়া হবে। এরপরও ইংরেজির ব্যবহার বন্ধ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে সিটি মেয়রের সাথে বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে (মুক্তিযোদ্ধা ও জনমুখী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ প্রয়াস) একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে আসেন।
এ সময় মেয়র বলেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ও প্রাণের ভাষা। বিশ্বে প্রথম আমরাই রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যা এখন বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ইদানিংকালে বিভিন্ন সাইনবোর্ড, আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজি ভাষায় ছাপার প্রবণতা বেড়ে গেছে, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের কাছে কাম্য নয়। এতে করে দেশের সংবিধানকে অবমাননা করা হয়। তাই চসিকের পক্ষ থেকে বাংলায় নামফলক চালু করতে যা করা প্রয়োজন সব পদক্ষেপই নেয়া হবে।
এসময় বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, রাজা মিয়া, মহিন উদ্দিন, হাসান মারুফ রুমি, মশিউর রহমান খান, হাসিনা সিঞ্চন ভৌমিক, আসমা আক্তার, ডা. শাহ আলম ভূঁইয়া, তৌহিদুল আলম কাজল, লিটন চৌধুরী রিংকু, ব্রিগেড-৭১ সংগঠনের কাজী রাজেস ইমরান, অপূর্ব নাথ, সুজউদ্দোলা বাবুল, ইনতেখাব বাবুল, মো. শফি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান, আইন আদালতের নির্দেশে অনুসারে সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামফলকে ৬০ ভাগ বাংলা লিখার প্রচলনের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের দাবি ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিগত মেয়রের সময়ে অনেক ব্যাংক বীমা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে কালি লেপন করতে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু এখন অনেক নামফলক বিদেশি ভাষায় টাঙানো রয়েছে। একারণে আমরা আবারো মাঠে নামলাম। মেয়র বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের প্রতিনিধিদলের গৃহীত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।