যখন কোনো একটা ভাল কাজ করা হয়। সে কাজের জন্য এক বা একাধিক মানুষ উপকৃতও হয়। অনেকেই এই ধরনের কাজকে সাধুবাদ দিয়ে থাকেন। পারলে কোনো না কোনো ভাবে সেই ভাল কাজে তারা নিজেকেও সম্পৃক্ত করেন। যা অত্যন্ত উপকারী একটি দিক। তবে ক্ষতিটা শুরু হয় এমন একশ্রেণির মানুষদের দ্বারা যারা সর্বদা সাদা কাপড়ের কালো দাগ গুণতে অত্যন্ত দক্ষ। ধরুন আপনি দশ-কুড়িজন অভুক্ত লোককে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। আপনি তাদের ভোজন করিয়ে শান্তি পেলেন আর যারা আপনার খাবার থেকে ভোজন করলো তারাও শান্তি পেল। তবে কোনো না কোনো কারণে অশান্তিতে থাকবে ঐ একশ্রেণির মানুষেরা। আপনি নিজের অর্থ আর শ্রম খরচ এত লোককে খাওয়ালেন সেটা তাদের চোখে পড়বে না তাদের চোখে পড়বে খাওয়ানোতে আপনার কি ত্রুটি ছিল কিংবা নিজের অজান্তে কোনো ধরনের ভুল হয়ে থাকলে সেটা নিয়েই তৈরি হবে তাদের আলোচনা কিংবা সমালোচনা। একদল এটা নিয়ে তৈরি করবে আপনার বিরুদ্ধে অপবাদ। অন্য এক দল তা পৌঁছে দিবে আপনার সমাজের আনাচে কানাচে। আর এই মিথ্যা অপবাদ অবিশ্বাস করা পাবলিকের তুলনা বিশ্বাস করা পাবলিকের সংখ্যা যদি বেশি হয় তবে সেই সমাজে আর কেউ কোনো দিন নিজ ইচ্ছায় পরের ভালো করার জন্য এগিয়ে আসে না। ফলে সেই সমাজে সবার মাঝে তৈরি হয় এক ধরনের স্বার্থপর মনোভাব। যা কোনো দিনই সামাজ জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। তাই সকলের উচিত ভালো কাজের ক্ষেত্রে এই ধরনের মনোভাব পরিহার করা।
লেখক : তরুণ সাহিত্যকর্মী