জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চারদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রহমান বলেছেন-বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বই পড়ার মাধ্যমে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। আগামী প্রজন্ম বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসকের প্রাঞ্জল সুন্দর বক্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বই মানুষকে মহান করে। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে বই পড়তে হবে। একটি বই লেখকের আহরিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, জীবন দর্শনের সমষ্টি। নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, কিংবা রবীন্দ্র-নজরুল আনিসুজ্জামানসহ বিখ্যাতদের বড় হওয়ার পেছনে একটাই গল্প। আর সেইটি হলো বই পড়া। বই আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে জীবন দর্শনে। উন্মুক্ত করে মুক্তবুদ্ধি চর্চার দ্বারকে, বৃদ্ধি করে সৃজনশীলতা ও নৈতিকতা। জগতের মহান ব্যক্তিরা সবাই বই প্রেমি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটস প্রতিবছর শতাধিক বই পড়েন। ওয়ারেন বাকেট প্রতিদিন একটি বই পড়েন। বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের কারাজীবনের একমাত্র সঙ্গী ছিল বই। আমাদের উচিত- জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য, ইতিহাস দর্শন ইত্যাদি জ্ঞানের মহাসাগরে বিচরণ করা। বই জ্ঞানের উৎকর্ষতা নির্মাণের হাতিয়ার, বই একটি জাতি ও একটি জনগণের উর্ধ্বমুখী উত্তরণের পরিচায়ক।
এম. এ. গফুর
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।