চীন ও আমেরিকা কেন পাল্লা দিয়ে খুঁজছে এক ডুবন্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ

| রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ চীন সাগরে ডুবে যাওয়া মার্কিন একটি যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নৌবাহিনী। দশ কোটি ডলারের (৭.৪ কোটি পাউন্ড) এফ৩৫-সি বিমানটি মার্কিন রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন থেকে উড্ডয়নের সময় ভূপাতিত হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে পড়ে নিমজ্জিত হয়।
মার্কিন নেভির ভাষ্যমতে এটি একটি দুর্ঘটনা। তাদের একেবারে হাল প্রযুক্তির একটি নতুন বিমান ছিল এটি। বিমানটি বিশেষায়িত এবং গোপন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতিতে ঠাসা। যেহেতু এখন এটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার মধ্যে রয়েছে, আইন অনুযায়ী যে কোনো দেশ এটি উদ্ধারের চেষ্টা করতে পারে। তাই এই বিমানের কাছে আগে যেই দেশ পৌঁছাবে, তারাই এর মালিকানা দাবি করতে পারবে। আর এই বিমান উদ্ধারের পুরস্কার হল অত্যন্ত দামী, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আকাশযানটির সব রহস্য। সোমবার এক সেনা মহড়ার সময় ডুবে যাওয়ার আগে বিমানটি রণতরী ভিনসনের ডেকে আঘাত করে এবং সাতজন নাবিক আহত হন।
বিমানটি এখন সমুদ্রের তলদেশে পড়ে আছে, কিন্তু এটি নিয়ে এরপর কী করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিমানটি ঠিক কোন অবস্থানে রয়েছে বা এটি উদ্ধার করতে কত সময় লাগতে পারে, এসব তথ্য প্রকাশ করছে না মার্কিন নেভি। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাকেই নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের এই দাবি পাকাপোক্ত করার জন্য নানারকম পদক্ষেপও নিয়েছে তারা। দু হাজার ষোল সালে এক আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছিল যে, চীনের এই দাবির পেছনে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তবে চীন ঐ রায় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সেনাবাহিনী এই বিমানের কাছে পৌঁছাতে অত্যন্ত উদগ্রীব। একটি উদ্ধারকারী মার্কিন জাহাজ বিমান ধ্বংসের জায়গা থেকে দশ দিনের দূরত্বে রয়েছে বলেও বলছেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রয়োজনে টিকাদান ছাড়াই স্কুল খুলে দিন : ইউনিসেফ
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়ায় কোভিডে মৃত্যু ৭ লাখ ছাড়াল