কনকনে শীতে কাঁপছে চট্টগ্রাম। দিনে কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই বেড়ে যাচ্ছে শীতের কাঁপন। চট্টগ্রাম নগরী ও আশেপাশের জেলাগুলোতেও শীতের এই একই তীব্রতা। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেঁটে-খাওয়া এবং ছিন্নমূল ভবঘুরে মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে ভুগছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। ঠান্ডাজনিত রোগ বালাইয়ের শিকার হচ্ছে শিশু, মাঝবয়সী থেকে বৃদ্ধরাও। চলমান এ কনকনে শীতের তীব্রতা আগামী এক সপ্তাহ থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের (পতেঙ্গা অফিস) পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিগ্রির নিচে হলে শৈত্য প্রবাহ বলা যায়। এখন একটু বেশি শীত অনুভব হচ্ছে মূলত পূবালী বাতাসের কারণে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চলছে এবং আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত এমনটা থাকবে। ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে মাত্রা। বাতাস দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে গেলে শীতের এ মাত্রা এমনিতেই কমে যাবে। তিনি আরো বলেন, উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা উঠানামা করছে ১০/১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেখানে শৈত্য প্রবাহ চলছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, চলমান এ প্রকোপকে শৈত্য প্রবাহ ক্যাটাগরিতে ফেলা যাচ্ছে না। মূলত বাতাসের কারণেই শীত অনুভব হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। বাতাস কেটে গেলে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাপমাত্রার হিসেবে শীতের তীব্রতা স্বাভাবিক রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ও এর আশেপাশের এলাকায়।