বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালী–পেকুয়া–কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর দেশি–বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসময় বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুন ও তাদের ১৩ সহযোগীকে আটক করা হয়। গতকাল শনিবার র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে অনেক অপকর্মের হোতা এই কবির বাহিনী। গত ১৪ জানুয়ারি কবীর বাহিনী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নিরীহ জেলেদের পরিবার অনেক কষ্টে–সৃষ্টে ২ লাখ টাকা দিলেও জেলেদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় তারা। পরবর্তীতে অপহৃত ভিকটিমদের পক্ষ থেকে র্যাব–৭ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব সদর গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব–৭ ও র্যাব–৮ ভিকটিমদের উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। জলদস্যুরা অভিযানের খবর পেয়ে জেলেদের ছেড়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। তবে এদিন ১৬ জেলেকে ছেড়ে দিলেও আনোয়ার হোসেন নামে নোয়াখালীর এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মেরে সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার র্যাবের একটি দল চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যু নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান এবং মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে বাহিনী প্রধান মো. নুরুল কবির (২৯), মো. আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া (৩০), আবু বক্কর (৩১), মো. ইউসুফ (৪৬), গিয়াস উদ্দিন (৩৭), মো. সফিউল আলম প্রকাশ মানিক (৩৬), মো. আব্দুল খালেক (৪৪), মো. রুবেল উদ্দিন (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম জিকু (২৮) এবং মো. সুলতানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি ক্রিজ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা এবং ২টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানে সুন্দরবন এলাকা জলদস্যু মুক্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা এবং কঙবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়াও জলদস্যু মুক্ত করতে কাজ করছে র্যাব।