খাল দখলদারদের ছাড় নেই

চট্টগ্রামে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শিকলবাহাসহ বিভিন্ন খাল পরিদর্শন

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ডেলটা প্ল্যানের আওতায় সারা দেশে ৫১২টি খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি ডিসেম্ববের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। তারপর দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু হবে, যেখানে তালিকায় রয়েছে ৪ হাজার ২৬টি খাল। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে তিন-চার বছর সময় লাগবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলীর শিকলবাহা খাল ছিল না, পুরোটাই ভরাট এবং অবৈধ স্থাপনা ছিল। স্যুয়ারেজ লাইন গেছে খালে। খাল পাড় দখল করে বানানো হয়েছে গরুর ঘর। নির্দেশনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। এ সময় তিনি অবৈধ খাল দখলদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, খাল দখলকারীদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখন খাল নিষ্কাশন জরুরি। স্থানীয়দের সহযোগিতা না পেলে খাল সংস্কার বা উদ্ধার কোনটাই সম্ভব নয়। এতে করে স্থানীয়রাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খাল খনন ও ড্রেজিং করা হয়েছে। অনেকবার স্থানীয়দের সাবধান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের থেকে দখলদারদের জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও দূষণ থেমে নেই। খননকাজ শেষ হলে এই খালের পানি লোকজন ব্যবহার করতে পারবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খালের কিছু অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া খালের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প কারখানা, বাজার এবং ডেইরি ফার্মের বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলে দেওয়া হয়। খালের তলদেশ আবর্জনায় ভরাট হয়ে আশপাশের এলাকায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ পরিবেশেরও মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯৯৬-৯৭ সালে এই খালে মালবাহী নৌ-যান চলাচল করতো। বর্তমানে কাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮১ শতাংশ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, পাউবো অতিরিক্ত মহা পরিচালক (দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল) অখিল কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী (দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল) রমজান আলী প্রামাণিক, নির্বাহী প্রকৌশলী (চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১) তয়ন কুমার ত্রিপুরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিরীন আক্তার প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ, তবুও দায়িত্ব ছাড়ছেন না প্রধান শিক্ষক
পরবর্তী নিবন্ধবইমেলায় প্রবেশে দেখাতে হবে সনদ