সুনামির ঢেউ উঠেছিল ৪৯ ফুট

প্রথম ত্রাণবাহী বিমান নামল টোঙ্গায়

| শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:৪০ অপরাহ্ণ

শনিবার সন্ধ্যার পরে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল টোঙ্গার সঙ্গে। টেলিফোন, ইন্টারনেট, মোবাইল, কেবল পরিষেবা কাজ করছিল না কোনওটাই। প্রায় ৫ দিন পরে খবর মিলল ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির। জানা গেল, সমুদ্রের তলদেশে হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার ফলে যে সুনামি হয়েছিল তাতে অন্তত ৪৯ ফুট উঁচুতে উঠেছিল ঢেউ। এদিকে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপদেশটিতে অতিজরুরি ত্রাণ নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের একটি বিমান অবতরণ করেছে। আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত ও সুনামিতে বসতিগুলো ধ্বংস হওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি বিমান দেশটিতে নামল। নিউ জিল্যান্ড জানিয়েছে, কর্মীরা টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করার পর সেখানে তাদের একটি সামরিক বিমান নেমেছে। তাদের পাঠানো অন্য বিমান ও জাহাজগুলো পথে রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামি সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুষিত হয়ে পড়ে। অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাঁচ দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর টোঙ্গা বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতে দৈনিক শনাক্ত তিন লাখ ছাড়াল
পরবর্তী নিবন্ধকর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে আফগান নারীরা