শিমু হত্যাকাণ্ড দাম্পত্য কলহের কথাই এসেছে জবানবন্দিতে

| শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:০৮ অপরাহ্ণ

আদালতের স্বীকারোক্তিতেও দাম্পত্য কলহের জেরেই অভিনয় শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকার দুজন বিচারিক হাকিমের আলাদা খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলের স্বীকারোক্তি নেন বিচারিক হাকিম মো. সাইফুল ইসলাম। তার বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদের জবানবন্দি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিশকাত সুকরানা। খবর বিডিনিউজের।
আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দাম্পত্য কলহের সূত্র ধরেই এ খুনের কথা স্বীকারোক্তিতে এসেছে। নোবেল ও ফরহাদ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল। বিচারিক হাকিমদের কাছে তাদের স্বীকারোক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের কাছে যেরকম কথা বলেছিল, প্রায় সেরকমই হাকিমদের কাছে বর্ণনা দিয়েছেন।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী শিমুকে হত্যার পর রোববার বন্ধু ফরহাদের সহায়তায় বস্তাবন্দি করে কেরানীগঞ্জে ফেলে দেন নোবেল। তবে তাদের দাম্পত্য কলহের কারণ জানা যায়নি। শিমুর বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন হত্যা মামলা দায়েরের পর গত মঙ্গলবার দুই আসামি নোবেল এবং ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত। হত্যাকাণ্ডের জন্য বোনজামাইকে দায়ী করে খোকন দাবি করেন, মাদকাসক্ত নোবেলের সঙ্গে শিমুর দাম্পত্য কলহ ছিল। বাসাতেই শিমুকে খুন করে লাশ সরিয়ে নেওয়া হয় নোবেলের গাড়িতে।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযে কারণে ভোগান্তি বাড়ে বন্দরে
পরবর্তী নিবন্ধজন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে হামলার ঘটনায় মেম্বারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা