বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন। তবে কী কারণে মেয়র ওখানে অবরুদ্ধ ছিলেন তা বিস্তারিত অবগত নন বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর জনতার সহায়তায় মেয়র রিকশায় করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে মিয়ার বাজার এলাকা থেকে মেয়রের গাড়িটি পুলিশের সহায়তায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হামিদ উল্লাহ বলেন, মেয়র বাসায় থাকাকালীন কিছু যুবক এসে চড়াও হয়। পরে পুলিশ এসে মেয়রকে চলে যেতে বলে।
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনি বলেন, পৌর নির্বাচনে আমার ভাই মানিক বিজয়ী হতে পারেনি। আমি ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। আমার মা, বোন ও ভাবী আমাকে দেখতে আসেন। কিছুক্ষণ পর পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হামিদ উল্লাহ এক জায়গায় দেওয়া আমার টাকাগুলো নিয়ে বাসায় আসেন। পরক্ষণে বর্তমান মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী হাঁপাতে হাঁপাতে আমার বাসায় এসে তাকে বাঁচাতে বলেন। কিছু লোক নাকি তাকে মারতে চাচ্ছে। কিছু যুবক আমার বাসায় এসে মেয়রকে টানাহেঁচড়া করে। আমি তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক মাধ্যমে একটা ভিডিওতে দেখা যায়, ২/৩ জন যুবক মেয়রকে ধরে টানাহেঁচড়া করছে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর জানান, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন।
বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। গত ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচন হলেও এখনো দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে অনেকবার কল করা হয়। কিন্তু সংযোগ পাওয়া যায়নি।