এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গত ১৬ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিকে কেবল মহানগরের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরে উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হয় গত ৮ জানুয়ারি। শুরুর পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১২-১৮ বছরের প্রায় ৬ লাখ (৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৭ জন) শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এই (১২-১৮ বছর) বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭২ জন। হিসেবে চট্টগ্রামের এই বয়সীদের ৬৮ ভাগ শিক্ষার্থী এরইমধ্যে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। আর প্রথম ডোজ গ্রহীতাদের মাঝে ২৮ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী ২য় ডোজ নিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে জোর দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মহানগরসহ জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। বেশ কয়টি উপজেলায় প্রথম ডোজ প্রয়োগ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে মহানগরে কিছুটা সময় লাগছে।
মহানগরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে গতি বাড়াতে মঙ্গলবার (আজ) নতুন করে আরো একটি কেন্দ্র (জিইসি কনভেনশন সেন্টার) চালু করা হচ্ছে জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারের ওই কেন্দ্রে দিনে অন্তত ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রয়োগে আমাদের টার্গেট রয়েছে। এর মাঝে নগরের মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি প্রথম ডোজ পেয়েছে বলেও জানান জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী। এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও জেলা শিক্ষা অফিসার।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১২-১৮ বছরের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭২ জন। এর মাঝে মহানগরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারের সামান্য কম-বেশি। এই ২ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। হিসেবে মহানগরের প্রায় ৬৩ ভাগ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া ২৮ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থীই মহানগরের। তবে মহানগরে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, মহানগরের বাইরে উপজেলাগুলোতে এই বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ১৯৯ জন। হিসেবে উপজেলা পর্যায়ের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী এরই মাঝে প্রথম ডোজ পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহানগরের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিকাদান চলছে। পাশাপাশি নতুন চারটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু রয়েছে- এই চার কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে আসকার দীঘিরপাড়ের রীমা কনভেনশন সেন্টার, সিরাজ উদ্দৌল্লাহ সড়কের হল সেভেন-ইলাভেন, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সিজেকেএস মিলনায়তন ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাব। আজ (মঙ্গলবার) নতুন করে জিইসি মোড়ের জিইসি কনভেনশন সেন্টারেও শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।












