শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে হল ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য বলেন, যার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন, সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন। ৭ম পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ কলাম
তার পরিবর্তে ওই হলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম চলবে বলে জানান উপাচার্য।
এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে বিকেলে পুলিশ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল চতুর্থ দিনের মতো তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে। বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫ টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বিকেল ৪ টার দিকে উপাচার্যকে মুক্ত করতে আইসিটি ভবনের সামনে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাইসহ’ নানা ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের উপর উত্তেজিত হয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।











