এবারের বিপিএলে থাকছে না ডিআরএস ধারাভাষ্যে প্রাধান্য পাবে স্থানীয়রা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দরজায় কড়া নাড়ছে এবারের বিপিএল। করোনা সংক্রমণের মাঝেও বিপিএল শুরুর দিনক্ষণ ঠিক আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ জানুয়ারী মাঠে গড়াবে এবারের বিপিএল। তবে এবারের বিপিএলে থাকছে না ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়াতেই ডিআরএস রাখা যাচ্ছে না বলে দাবি বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের। ধারাভাষ্যকারদের ক্ষেত্রেও বেশি ‘ফোকাস’ রাখা হচ্ছে স্থানীয়দের দিকেই। ২০১৯ সালের আসরে ডিআরএস থাকলেও শুরুতে ছিল না আল্ট্রাএজ প্রযুক্তি।
বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান কোভিড পরিস্থিতিতে আমরা রাখতে পারছি না ডিআরএস। এখন টেকনিশিয়ানরা কেউ ফ্লাই করতে পারছে না। ওদের দুইটা টিম এখন দুই দেশে আছে । সেখান থেকে এই অবস্থায় বাংলাদেশে আসতে পারবে না। ডিআরএসের সোর্স সারাবিশ্বে একটাই। হক-আই কোম্পানি। ওরাই দেয় সব জায়গায়। ওমিক্রনের কারণে কেউ আসতে চাচ্ছে না। বিপিএলের পর আফগানিস্তান সিরিজ। সেটিতেও রাখতে পারব কিনা সেটাও কথা বলতে হচ্ছে। মল্লিক জানান বিদেশি আম্পায়ার ঠিক করা ছিল ইংল্যান্ডের । সেও জানিয়ে দিয়েছে যে আসতে পারবে না। এখন আমরা আবার বিকল্প খুঁজছি। হয়তো শ্রীলঙ্কা বা ভারত থেকে দুইজনকে নেব।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে তো আসলে আলোচনার কিছু নেই। ডিআরএস পাইনি তাদেরকে জানিয়ে দেব। আর শুধু বিপিএলে তো নয়, আন্তর্জাতিক সিরিজেও ভুল সিদ্ধান্ত হয়। একপাশে বিদেশি আম্পায়ার থাকবে, আরেকপাশে দেশি। আমার মনে হয় না, আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব বলেন, ডিআরএস ছাড়া সম্প্রচারের বাকি সবকিছু মানসম্পন্নই থাকবে। প্রোডাকশন ভালো করার চেষ্টা করা হবে। প্রতিবারই ২৬-২৭টি ক্যামেরা থাকে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের চেয়ে বেশি থাকে। এবারও থাকবে। অতীতে গ্রাফিক্স নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এবার সতর্ক থাকার চেষ্টা করা হবে।
ধারাভাষ্যকার নিয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন তারা দেশের ধারাভাষ্যকারদের ওপর জোর দেওয়া হবে। এখন আমরা স্থানীয় তরুণ কিছু ধারাভাষ্যকারকে প্রমোট করার চেষ্টা করছি। অন্তত ৫০ ভাগ ধারাভাষ্যকার আমরা স্থানীয় রাখতে চাই। এটা আমাদের চাওয়া, পুরোটাই বিদেশি ভালো ধারাভাষ্যকার রাখার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা চাই স্থানীয়রা যেন অর্ধেক থাকে। কোভিড পরিস্থিতিতে ধারাভাষ্যকার পাওয়াই কঠিন। তারপরও খারাপ থাকার কথা নয়। মোটামুটি ভালো মানেরই আসার কথা। তবে ওমিক্রন পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু সম্ভব হচ্ছে না। ডিআরএস না থাকলে টুর্নামেন্ট অবশ্যই আবেদন হারায়। কিন্তু কিছু করার নেই। দর্শকের ক্ষেত্রেও যেমন, আমরা চেয়েছিলাম এবার পূর্ণ গ্যালারি রাখতে। সরকার থেকে অনুমতিও পেয়েছিলাম। কিন্তু সব বদলে গেল ওমিক্রনের কারণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযে কারণে নারী ভক্তের সঙ্গে ছবি তোলেন না মোহাম্মদ রিজওয়ান
পরবর্তী নিবন্ধসাইবার আক্রমণ ইউক্রেনে, বিকল সরকারি ও দূতাবাসের সাইট