কক্সবাজার শহরতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ক্যাফে হায়দার হোটেলের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে আক্তার ঊদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার রায়ে অপর ৩ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কঙবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন আলোচিত ওই হত্যা মামলায় এ রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আবদুল খালেক (৩৫) কঙবাজার সদর উপজেলার চান্দের পাড়া এলাকার কালু মাঝির ছেলে। এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামি হলো মোহাম্মদ কাজল, আমির হামজা, সলিম উল্লাহ ও আবদুল গাফফার। দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলেন আবদুল জলিল, আশফাকুর রহমান মিল্কী ও ওবায়দুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০০২ সালের ২৯ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কঙবাজার শহরতলীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ক্যাফে হায়দার হোটেলের কাছে উখিয়ার রত্মাপালং এর শাহাবুদ্দিনের একটি গাড়ি আসামিরা ভিন্ন চাবি ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহাবুদ্দিনের বড় ভাই আক্তার ঊদ্দিন (৩৫) তাদের বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডার এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আসামিরা এসে আক্তার ঊদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় উখিয়ার রত্নাপালং এর জমির উদ্দিনের পুত্র আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে কঙবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০০৩ সালের ৩ জুন মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন, যুক্তিতর্কসহ সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।












