চন্দনাইশে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৯ জানুয়ারি) ৪টি বুথে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। সপ্তাহব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ভ্যাকসিন।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে উপজেলা কনফারেন্স রুম, দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাঠানদন্ডী তাহেরীয়া ছাবেরীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের এসব ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা কনফারেন্স রুমে গিয়ে দেখা যায়, শত শত শিক্ষার্থী লাইনে দাঁড়িয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য। এদিন ওই বুথে কাসেম-মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫২ জন, ফাতেমা জিন্নাহ বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ের ৫৫৩ জন, গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১,৩০০ জন, কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় বুথে ওই বিদ্যালয়ের ১,৬৯২ জন, দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বুথে হাশিমপুর এমএকেইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৯০ জন, দোহাজারী জামিজুরী নিম্ন মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ের ২৩০ জন, জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজের ৪৯৯ জন, দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪২ জন, পাঠানদণ্ডী তাহেরীয়া ছাবেরীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা বুথে চামুদরিয়া ইউনাইটেড ইন্সটিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭৭ জন, শুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪১৭ জন, কানাইমাদারী ইসলামিয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৪৪ জন এবং পাঠানদণ্ডী তাহেরীয়া ছাবেরীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৯৬ জনসহ মোট ৭ হাজার ২৯২ জন শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা কনফারেন্স রুম ও দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বুথে ২ হাজার ৩৯০ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা জানান, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। এজন্য ঠিকাগুলো সংরক্ষণের জন্য এসি রুমের প্রয়োজন। তাই গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার ৪টি বুথে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। চলবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থী যাতে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল ও মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত করে সময় নির্ধারণ করে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলার ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।