চট্টগ্রাম কাস্টমসে অনলাইন মাধ্যমে (ই-পেমেন্ট) শুল্ক কর পরিশোধে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছে এমন অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক পরিশোধে এমন ভোগান্তির কারণে দিনভর শুল্কায়ন প্রক্রিয়া এবং পণ্য খালাস ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কাস্টমস কর্তারা বলছেন, দুপুরের দিকে পেমেন্টের চাপ ছিল, তাই সার্ভার হ্যাং করেছে।
আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নির্দেশনা মোতাবেক বাণিজ্য সহজীকরণের অংশ হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০১৭ সাল থেকে ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। এ পদ্ধতিতে আমদানিকারক বা তার মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে শুল্ক-করের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন। এছাড়া ইউজার আইডি দিয়ে আরটিজিএস (রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) গেটওয়ের মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধ করা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পন্থা। গত বছরের জুলাই থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় কেবল ২ লাখ টাকার ওপরের শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান বিলু দৈনিক আজাদীকে বলেন, ই-পেমেন্টে আমাদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ই-পেমেন্ট করার পরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কনফার্মেশন ম্যাসেজের জন্য বসে থাকতে হচ্ছে। এটি কখনো কাম্য হতে পারে না। শুল্ক পরিশোধ করতে না পারার কারণে অনেকে পণ্য খালাস করতে পারেনি। সিস্টেমের আধুনিকায়ন না করে হঠাৎ করে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের।
এ ব্যাপার জানার জন্য এনিবআরের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মো. ফজলুর রহমানকে দৈনিক আজাদীর পরিচয় দেয়ায় ব্যস্ত আছেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিস্টেম এনালিস্ট আহসান হাবীব সুমন দৈনিক আজাদীকে বলেন, কেবল এনবিআরের সার্ভারের ত্রুটি হলেই ই-পেমেন্টে সমস্যা হবে ব্যাপারটি এমন নয়। এখানে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারও সংযুক্ত থাকে। কোন একটিতে সমস্যা দেখা দিলে এটি হতে পারে।