নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আরো ধারালো ছিল বাংলাদেশের বোলিং। আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডের বাকি ব্যাটাসম্যানদের উইকেটে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। অলআউট করে দিয়েছে ৩২৮ রানে। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে জবাব দিতে নেমে অসাধারণ খেলেছে বাংলাদেশও। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স অবশ্যই আশা জাগানিয়া। টেস্টের বাকি তিনদিনও এখন ভালো খেলার লক্ষ্য টাইগারদের। যদিও ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোনো একটি সেশনেই বদলে যেতে পারে ম্যাচের চিত্র।
আপাতত বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে এ কারণে খুশি সবাই। ১০৯ বল খেলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে যাওয়া নাজমুল হাসান শান্তও প্রকাশ করলেন তার খুশির বিষয়টি। তার মতে কিউইদের ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভালো খেলার রহস্যের কথাও বলতে গিয়ে শান্ত বলেন শুরুতেই সাদমান ইসলাম এবং মাহমুদুল হাসান জয় একটা ভালো জুটি গড়ে দিয়ে আসে। যে জুটির কারণে পরবর্তীতে অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন শান্ত। প্রথমে সাদমান এবং জয় মিলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ৫৫ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান সাদমান। তবুও এই ৪৩ রানের জুটিটার ওপর ভর করেই অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার ভিত্তি পেয়েছে বাংলাদেশের পরের ব্যাটসম্যানরা। নাজমুল হোসেন শান্ত তেমনটাই মনে করছেন। জয় আর শান্ত মিলে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। শান্ত বলেন আমার মনে হয়, জয় আর সাদমান শুরুতে খুব ভালো একটা পার্টনারশিপ করেছে। এ কারণে আমি নামার পর ব্যাটিং করাটা খুব সহজ হয়েছে। আমার এবং জয়কে লম্বা চিন্তা করতে হয়নি। একটা একটা বল চিন্তা করেছি। একটা ওভার, একটা ঘন্টা কিভাবে পার করবো সে চিন্তা করেছি। যেমন বল দেখবো তেমনই খেলবো তেমনটাই ছিল মনোভাব। কোন জোরাজুরি করার কোন প্ল্যান ছিল না। তবে আশার কথা হচ্ছে জয় খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি যদি দিনটা শেষ করে আসতে পারতাম তাহলে আমাদের দিনটা আরও ভালো হতো। তারপরও যেটা হয়েছে সেটাও বেশ ভাল। এখন আমাদের পরে যে ব্যাটসম্যানরা রয়েছে তারা একটু একটু দায়িত্ব পালন করতে পারলেই আমরা এগিয়ে থাকবো প্রথম ইনিংসে।