ভারত সরকারের উপহার হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) একটি বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আইসিইউ সুবিধাসহ ট্রমা রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন। ওই সময় বাংলাদেশকে ১১৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। চসিককে দেয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ঘোষিত উপহারের একটি। গতকাল সকালে টাইগারপাসে অবস্থিত নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বছরের শুরুতে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এধরনের উপহার যে কাউকে আনন্দিত করবে।
মেয়র আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। প্রতিবেশী হিসেবে একটি রাষ্ট্রের যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন অতীতেও ভারত তা রেখেছে। যার প্রমাণ আমরা ৭১-এ পেয়েছি। সাম্প্রতিক করোনাকালেও তাঁরা টিকা উপহারসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আমাদের পাশে আছেন। যার মধ্যে পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট ইত্যাদি। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন তা ভারত-বাংলাদেশ দুদেশের মধ্যে আগামীতেও বিরাজ করবে। মেয়র উপহারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সহকারী হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, আমার কূটনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামে আমি দীর্ঘ চারবছর সময় অতিবাহিত করলাম। এরপূর্বে ঢাকায়ও কাজ করেছি। সবমিলে প্রায় ১০ বছরের মত বাংলাদেশে আমার কর্মজীবন কাটলো। এই সময়টুকু আমার বেশ আনন্দে কেটেছে। তবে এরমধ্যে চট্টগ্রামে আমার বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হয়েছে। কারণ এখানকার অধিবাসীরা অতিথিপরায়ন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাশে থাকা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভারত সরকার আনন্দিত। আমরা যে অ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দিলাম তাতে নতুন অত্যাধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটি রোগীদের মানসম্মত জরুরিসেবা ও ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানে প্যারামেডিক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। বক্তব্য রাখেন সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।