শিক্ষার্থীদের টিকার ২য় ডোজ প্রয়োগ শুরু চট্টগ্রামে

প্রথম দিন পেল প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী, প্রথম ডোজ আপাতত বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে গত ১৬ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। এর মাঝে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হয়েছে। এবার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগও শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল (২ ডিসেম্বর) থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিন (গতকাল) প্রায় ২ হাজার (১৮৪৭ জন) এইচএসসি পরীক্ষার্থী করোনার টিকার ২য় ডোজ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী। যদিও প্রায় তিন হাজার (২৯৬১ জন) এইচএসসি পরীক্ষার্থীর প্রথম দিন ২য় ডোজ গ্রহণের কথা ছিল। এর মাঝে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিলেও বাকিরা ২য় ডোজ নিতে কেন্দ্রে আসেনি।
মহানগরের ৫টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের (সিজিএস) চট্টেশ্বরী রোডের ক্যাম্পাস ও সার্সন রোডের ক্যাম্পাস, ইস্পাহানি মোড়ের স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল, ওআর নিজাম রোডের ইউরোপিয়ান গ্রামার স্কুল ও পাঁচলাইশ এলাকার প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এসব কেন্দ্রে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রয়োগ চলমান রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের মোট ৫২ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। এর মাঝে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ২৮৪ জন। আর ১২-১৭ বছর বয়সী ৩৭ হাজার ৫১২ জন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ নিয়েছে। প্রথম ডোজ পাওয়া এসব শিক্ষার্থীকে এখন ধাপে ধাপে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে, দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী আজাদীকে বলেন, আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের ১ম ডোজ বন্ধ রেখেছি। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সিডিউল আছে, তাতে ১ম ডোজ আপাতত বন্ধ। কেবল ২য় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে ১ম ডোজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পরবর্তীতে ১ম ও ২য় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম একই সাথে চলতে পারে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাটে-বলে উজ্জ্বল দিন বাংলাদেশের
পরবর্তী নিবন্ধএকনেকের অপেক্ষায় চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প