বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকরাম খান। পারিবারিক সিদ্ধান্তে দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন সাবেক এই অধিনায়ক। বনানীতে নিজের বাসায় গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আকরাম জানান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনার পর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি।
তার আগে আকরাম খানের স্ত্রী সাবিনা আকরাম সোমবার ফেসবুক পোস্টে স্বামীর পদত্যাগের খবর দিয়েছিলেন। তবে নিশ্চুপ ছিলেন আকরাম খান। একদিন পর তিনি বলেন, হ্যাঁ, পারিবারিক কারণেই সরে যাচ্ছি। যেহেতু আমি এখানে অনেক বছর ছিলাম। এখানে মানসিক ও শারীরিক শক্তির দরকার হয়। সব মিলিয়েই এই বিরতির সিদ্ধান্ত। আকরাম খান বলেন, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব, এখন আমি এ নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। উনার পরামর্শ অনুসরণ করব আমি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিদারুণ ব্যর্থতার পর দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গত কিছু দিন ধরেই চলছে সমালোচনা। এর আঁচ লাগছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ এবং এর প্রধান আকরামের গায়েও। এর মধ্যেই তিনি নিলেন দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
আকরাম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার ব্যাপারে। যেহেতু আমি আট বছর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে ছিলাম, তো এটা নিয়ে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট আমার যে অভিভাবক, গত আট বছরে উনার থেকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছি কাজের জন্য। তো উনার সঙ্গে আলাপ করে হয়তো কালকের মধ্যে আমার সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিব। উনার কনসার্ন ছাড়া আমি আপনাদের কিছু বলতে পারব না। আজ ৩ টার দিকে কল করেছিলাম, রিপ্লাই দেননি। হয়ত যে কোনো সময় কল ব্যাক করবেন। কল করলে উনার সঙ্গে আলাপ করে নেব।
২০১৪ সালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান হন আকরাম। পরের বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে চেয়ার হারান তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার চেয়ারম্যান হয়ে ফেরার পর দায়িত্ব পালন করেন টানা ৬ বছর। গত অক্টোবরে সর্বশেষ বোর্ড নির্বাচনের পর নতুন করে পদ বণ্টন করা হয়নি। পুননির্বাচিত হওয়া পরিচালকরা নিজ নিজ বিভাগেই বহাল আছেন।