চলতি সপ্তাহেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের সংস্কার কাজ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জনভোগান্তির অবসান ঘটবে বলে মনে করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। জাইকার অর্থায়নে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে আইস ফ্যাক্টরি রোড সংস্কারে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হয়নি। পরবর্তীতে কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি আরসিসি ড্রেন এবং ফুটপাতের উন্নয়নও কার্যাদেশে রয়েছে। জানা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অন্যতম আইস ফ্যাক্টরি রোড। সিটি কলেজ, প্রাইমারি টিচার্স ইনস্টিটিউ, কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারি সিটি বালিকা বিদ্যালয় এ সড়কে অবস্থিত। মাদারবাড়ি, শুভপুর বাসস্ট্যান্ড, কদমতলীর সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে এ সড়কের। ফলে অবস্থানগত কারণে আলাদা গুরুত্ব আছে সড়কটির। তবে দীর্ঘদিন বেহাল থাকায় সড়কটি ঘিরে পথচারীদের ভোগান্তি হয়ে উঠেছিল অসহনীয়।
গত অক্টোবর মাসে প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠকে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর গতি আসে কাজে। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিনি চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় মেয়র এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আজাদীকে তিনি বলেন, ম্যাকাডমের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো সড়ক উপযোগী করার জন্য কাজ করছি আমরা। যেগুলোতে প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে সেখানে গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। কিছু জায়গায় ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির জন্য সমস্যা হচ্ছে। ওয়াসার এমডির সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদেরকেও বলেছি জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য কাজ দ্রুত শেষ করতে।
চসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুর সোলায়মান দৈনিক আজাদীকে বলেন, আইস ফ্যাক্টরি রোড সংস্কার প্রকল্পে স্ট্রান্ড রোডও অন্তর্ভুক্ত। আইস ফ্যাক্টরি রোডের সিটি কলেজ গেইট থেকে নিয়াজ হোটেল পর্যন্ত ৯শ মিটার আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।