র্যাব ও এর ৭ সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলেন। তবে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এই তালিকায় র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমদের সঙ্গে কঙবাজারে র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতা উদ্দিন আহমেদের নাম এসেছে।
এছাড়া আলাদাভাবে বিভিন্ন দেশের ১২ কর্মকর্তার নাম যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার কথা বলেছে সে দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর। সেখানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব, এর সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক ও বর্তমান আরও পাঁচ কর্মকর্তার নাম।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই বার্তা তাকে ওয়াশিংটনে পৌঁছে দিতে বলা হয়। গত শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এরপর মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আর তাতে সফল হওয়ার বিষয়েও তিনি আশাবাদী।