ক্রিকেট মাঠে ব্যাটসম্যান কিংবা বোলাররা দারুন পারফর্ম করে বিশ্বসেরা হয়ে থাকেন। ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি কিংবা ডাবল সেঞ্চুরি করেন। আবার বোলাররা বল হাতে আগুন ঝরান। জুটে যায় তারকা খ্যাতি। কিন্তু ক্রিকেটারদের জন্য এই মঞ্চ যারা তৈরি করে দেন তারা থাকেন সব সময় পর্দার অন্তরালে। প্রতিদিন রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা মাঠ পরিচর্যা করে ক্রিকেটারদের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করে রাখে তাদের খবর কয়জনই বা রাখে? তবে এবারে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঠ কর্মীদের জন্য পুরস্কারের প্রবর্তন করেছে বিসিবির চট্টগ্রাম কার্যালয়। এখন থেকে এক একজনকে সেরা মাঠ কর্মীর পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল। সেই মোতাবেক গত রোববার প্রথম সেরা মাঠকর্মী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে বেলাল হোসেনকে। ২০০৭ সালে বেলাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠ কর্মী হিসেবে যোগদান করে। ১৪ জন মাঠ কর্মীর মধ্যে তাকে সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবির চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তারা। তার হাতে নগদ অর্থ এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব আলি আব্বাস। পুরস্কার পেয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত বেলাল। তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতার যেন শেষ নেই সহজ সরল এই মাঠ কর্মীর। অবশ্য বেলালের পুরো পরিবারটি ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত। তার পিতা জেবল হক দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করছেন। বেলালের ভাই জাহাঙ্গীর বর্তমানে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত। বলতে গেলে ক্রীড়াঙ্গনেই তার বেড়ে উঠা থেকে সবকিছু। বেলাল নিজেকেও শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলল। দায়িত্বশীলতা এবং নিষ্ঠার পুরস্কার পেল বেলাল। তাকে পুরস্কৃত করতে পেরে নিজেরাও আনন্দিত বলে জানান বিসিবির ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল। তিনি বলেন এ ধরনের পুরস্কার অন্য মাঠ কর্মীদের মাঝে কাজের স্পৃহা বাড়াবে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। বেলালের এই পুরষ্কার প্রাপ্তি তার সতীর্থরাও আনন্দের সাথে গ্রহন করেছে। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ঝাপটা উপেক্ষা করে যারা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে দেশের অন্যতম সেরা আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে গড়ে তুলেছে তাদের পুরস্কার প্রদানের রেওয়াজটা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।