করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ নির্দেশনা দেন। দেশের সকল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনগণ সভায় অংশ নেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর সামছুল হকও এতে সংযুক্ত ছিলেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরুর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা আসতে পারে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্দেশনা পেলে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করবো।
বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্রাধিকারের বিষয়ে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে এখন যেভাবে এসএমএস পাঠিয়ে প্রথম ও ২য় ডোজ দেয়া হচ্ছে, একইভাবে বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এসএমএস পাঠানো হতে পারে। অর্থাৎ যারা এসএমএস পাবেন, তারাই নির্ধারিত দিনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। যদিও এ বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। চূড়ান্ত হলেই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়া যাবে। ভাইরাসের নতুন ধরণ অমিক্রন নিয়েও সভায় সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
প্রসঙ্গত, চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই বুস্টার ডোজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে ফ্রন্টলাইনার (সম্মুখসারির যোদ্ধা) ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের আগে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এ সংক্রান্ত সুপারিশে কমিটি বলেছে, রুটিন ভ্যাকসিনেশনের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ও সম্মুখসারির যোদ্ধা, যাদের দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অন্তত ছয় মাস আগে দেওয়া হয়েছে, এমন জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।