কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়িজোনে অস্ত্রধারীদের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তন্মধ্যে অস্ত্র, হত্যা ও সরকারি কাজে বাঁধা, র্যাব সদস্যদের আঘাতসহ হত্যাচেষ্টার ধারায়। র্যাব-১৫ সিপিএসসি এর নায়েক সুবেদার মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সময় অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক দুই জনকে। এরা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পুচ্ছরি পাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে আবুল কালাম (৪৫) ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিক ছোবহান হাজিপাড়ার মৃত আবদুর রউফের ছেলে শাহনেওয়াজ টিপু (৪০)। এছাড়াও আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়েছে র্যাব।
সূত্র জানায়, চিংড়িপ্রকল্প দখল করতে গিয়ে সেদিন রাতে প্রকল্প এলাকায় ছাগল জবাই করে ভূরিভোজেরও আয়োজন করে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। সেটি কার বাহিনী এবং সেখানে কারা কারা ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে গণমাধ্যমে কঙবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়বকে ঘটনায় সাথে জড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, উপরোক্ত ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ত নন এবং যারা সেই রাতে ছাগল জবাই করে ভুরিভোজ করেছেন তারাই ওই চিংড়িপ্রকল্পটি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল। তখন র্যাবের সাথে তারা গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছিল। অপরদিকে নিহত বাবুল জলদাসের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি কোন ডাকাত-সন্ত্রাসীদলের সদস্য নন। তিনি রাতে নদীতে ঝাঁকি জাল বসিয়ে মাছ ধরে সংসারের ভরণ-পোষণ চালাতেন। র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা চলাকালে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।