গরিব মুর্দার গোসলখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে হাই কোর্টের স্থিতাবস্থা, রুল জারি

চমেক হাসপাতাল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গরীব মুর্দার ফ্রি গোসলখানা ও কাফনের ব্যবস্থা বন্ধে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামুনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটির শুনানি শেষে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বাধা প্রদান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করা হয়। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে সাংবিধানের ১০২ ধারায় রিট মামলাটি করা হয়। আবেদনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফা।
জানা যায়, চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে গত ৫ আগস্ট হাসপাতাল জামে মসজিদের উত্তর পাশে পুরাতন লাশ গোসলখানার পাশে ‘ শেষ স্পর্শ ’ নামের একটি মুর্দা গোসলখানার নির্মাণ কাজ শুরু করে এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। মুর্দা গোসলখানা নির্মাণ শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কিন্তু গত ২২ নভেম্বর অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে মুর্দা গোসলখানার সাইনবোর্ডটি খুলে নিয়ে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
অ্যাডভোকেট আবু হানিফা বলেন, ‘এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মুর্দা গোসলখানাটি নির্মাণ করেছেন। এখানে বিনামূল্যে নিহত ব্যক্তির গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা হতো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে উদ্বোধনের আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন নির্মিত মুর্দা গোসলখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত রিটের শুনানি শেষে স্থিতিবস্থা বজায় রাখা ও বিবাদীদের রুল জারি করেন।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই গাড়ির গতি কম থাকায় প্রাণে বাঁচল ৪০ যাত্রী
পরবর্তী নিবন্ধগুলশান হাউজিংয়ে পাহাড় কেটে বসতি ৮ ব্যক্তিকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা