আদালত ভবন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি রোহিঙ্গা যুবক আবুল কালামকে টেকনাফের লেদা ক্যাম্প থেকে গত রোববার রাত আড়াইটায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার ১২ ঘন্টা পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। বিকেলে ফের কোর্টে উপস্থাপন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা যুবককে কোর্টে উপস্থাপন করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক মঙ্গলবার (আজ) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
প্রসিকিউশন শাখা সূত্র জানায়, কোর্ট বিল্ডিংয়ের নতুন আদালত ভবন থেকে পালিয়ে আবুল কালাম একটি সিএনজি অটোরিকশা করে শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় যান। সেখান থেকে বাসে উঠে কঙবাজার ও পরে টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে যান। এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পেয়ে লেদা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করলে তাঁরা রোববার রাত আড়াইটায় আবুল কালামকে তার ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভোরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। কোতোয়ালির ওসি নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে দণ্ডবিধির ২২৪ ধারায় আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
সে কেন এ কাজ করেছে বা ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কী-না তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম আদালত ভবন থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আবুল কালাম পালিয়ে যায়।