লায়নিজমের যথোপযুক্ত চর্চার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি স্বদেশ বিনির্মাণ এবং দেশের সকল মানুষের যাতে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের সংস্থান হয় এবং মানুষ যাতে নিরাপদে ঘুমাতে পারেন সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর লায়নিজমের মূল মন্ত্রই হচ্ছে সেবা। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নামই লায়নিজম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই জাবনের মূলমন্ত্রে পরিণত করেছিলেন। কর্ণফুলী লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও লায়ন্স জেলা ৩১৫বি এর ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে আলোচকরা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। নগরীর আগ্রাবাদে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে গত সোমবার রাতে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক লায়ন এম. এ. মালেক। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষের উপর নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি আলোচনায় টুঙ্গিপাড়ার খোকা কিভাবে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন উপস্থিত দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের উপর মুখ্য আলোচনা পেশ করেন অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম। তাঁর আলোচনায় নিকট অতিতে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি বাস্তব চিত্র তিনি তুলে ধরেন। আলোচনায় তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে। লায়ন্স জেলা ৩১৫ বি ৪ এর ২৫ বছর পূর্তির উপর বিশদ আলোচনা করেন প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া। তিনি আলোচনায় এই জেলা প্রতিষ্ঠার পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমরা এই জেলা গভর্নর হতে পারতাম না। তিনি লায়ন্স জেলা ৩১৫ বি ৪ এর প্রতিষ্ঠাকালীন গভর্নর মরহুম লায়ন আব্দুল গফফার দোভাষের স্মৃতিচারণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর আবার প্রতিষ্ঠাকালীন গভর্নরের ছেলে যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে লায়ন আল সাদাত দোভাষ এই জেলার গভর্নরের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা গভর্নর লায়ন আল সাদাত দোভাষ বলেন, ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলী লায়ন্স ক্লাব ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে সেবার জগতে আমাদের দায়িত্ববোধকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই অনুষ্ঠানে জেলা কর্তৃক প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেকের গোল্ড প্রাপ্তিতে এবং প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন মঞ্জুর আলম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২য় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পিডিজি লায়ন নাছির উদ্দিন চৌধুরী, পিডিজি লায়ন কামরুন মালেক, পিডিজি লায়ন মঞ্জুর আলম, পিডিজি সিরাজুল হক আনসারি, পিডিজি রফিক আহমদ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লায়ন জহির উদ্দিন আহমদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লায়ন মোসলেহ উদ্দিন অপু। ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে লায়ন আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনুগত্যের শপথ পরিচালনা করেন লায়ন শুভ নাজ জিনিয়া। অনুষ্ঠানে কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন এস. এম. আশরাফুল আলম আরজু, কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিকি, লায়ন আশরাফুল ইয়ামিন, মিরাজুর রহমান তুহিন, লায়ন জহির উদ্দিন হেলাল, লায়ন ইকবাল হোসেন সুমন, লায়ন হাসিবুল হাসান রাশেদ, লায়ন রাজিব বড়ুয়া, লায়ন লোকমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের একবারে শেষ পর্যায়ে চট্টগ্রামের লায়নিজমের অন্যতম পথিকৃত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের ৮১তম জন্মদিন আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। ৮ এবং ১ লেখা বড় সাইজের দুইটি কেক পাশাপাশি রেখে তৈরি করা হয় ৮১। অতঃপর উৎসবমুখর পরিবেশে সেই কেক কেটে উদযাপন করা হয় জন্মদিনের অনুষ্ঠান। এই সময় আবেগঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
        











