পেকুয়ার বারবাকিয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর-হামলা, ১ কেন্দ্র স্থগিত

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

পেকুয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২১ at ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

পেকুয়ার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫টি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হলেও বারবাকিয়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনার পর ফাঁসিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

বাকি ৮ কেন্দ্রে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিএম আবুল কাশেম ৩২০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মওলানা বদিউল আলম জিহাদী। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১,৩০০ জন। এদিকে, একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকার ফলে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ও ভাঙচুরকৃত কেন্দ্র পরিদর্শন করে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফাঁসিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ১০০-১২০ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিয়ে ওই কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ৩টি বুথ ও ব্যালট বাক্সে ভাঙচুর চালায়।

এসময় ৫ শতাধিক কাস্টিং ভোটের ব্যালট হামলাকারীরা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং বাকি ব্যালটগুলো ছিঁড়ে ফেলে। তখন আতংকে লাইনে থাকা ভোটাররা দিগ্বিদিক পালাতে থাকে।

পরে র‌্যাব, বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ঘোষণা করেন।

স্থগিত হওয়া ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তাফা জামান বলেন, “সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও সকাল ১১টার দিকে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে বুথে ও ব্যালট বাক্সে ভাঙচুর করে এবং ২ শতাধিক কাস্টিং ভোটের ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারবাকিয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ বলেন, “দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বারবাকিয়ার একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৪
পরবর্তী নিবন্ধ“এটা আবু ছৈয়দের নৌকা নয়”