চারিদিকে কথার ঝড়। লক্ষ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট। সে ঝড় থেকে নিজেদের সামলাতে দলনায়ক মোমিনুল হক দুটি দাওয়াই দেখছেন। কান বন্ধ রেখে বাইরের কথা ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। আর নিজেদের আসল কাজে আরও মনোযোগী হওয়া, মাঠের ক্রিকেটেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে চান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগের দিন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানান দলকে চাঙা রাখতে তার পদ্ধতি। ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই প্রথম নয়, আগেও কয়েকবার হয়েছে এরকম। সবসময়ই এখান থেকে বের হয়েছি। এই সময়টায় মানুষ মানসিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বল এই কারণেই হয়ে পড়ে যে, আমরা বাইরের কথাগুলি অনেক বেশি নেই। আমি চেষ্টা করছি যে বাইরের কথায় বেশি কান না দিয়ে নিজের কাজের জায়গায় বেশি মনোযোগ দেওয়ার। দিন শেষে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া উচিত। বাইরের কথা বা মানুষের মুখ আপনি বন্ধ করতে পারবেন না। নিজের কান আপনি বন্ধ করতে পারবেন। যেটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই ওভাবেই কাজ করছি।’
মোমিনুল জানান, সাকিব-তামিম দুই সতীর্থের না থাকা বেশি ভাবাচ্ছে তাকে। ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের কয়েক জন নেই, তরুণ অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার জন্য ও দলের সবার জন্য হতাশাজনক। তবে ওই জায়গায় পড়ে থাকলে হবে না। নতুন যারা খেলবে, জুনিয়র যারা আছে, সবার জন্য এটা সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার ও নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর। তামিম ভাই ওপরে ভালো খেললে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। সাকিব ভাই একা দুইজনের সমান। তাসকিনের অবস্থা খুব খুব ভালো ছিল, দারুণ বল করছিল। সেদিক থেকে বলব, চারটা ক্রিকেটার নেই। আমার মনে হয়, অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য কঠিন হবে। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে জুনিয়রদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। হয়তো আমার, মুশফিক ভাইয়ের একটু বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। জুনিয়রদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর কেটেছিল ভীষণ হতাশায়। প্রাপ্তি বলতে ছিল কেবল একটি ড্র। তলানিতে থেকে শেষ করা বাংলাদেশের নজর এবার উন্নতিতে। অধিনায়ক মোমিনুল হক জানান, অন্তত ছয় কিংবা সাতে থেকে দ্বিতীয় আসর শেষ করতে চান তারা। ‘আমার মনে হয়, এখন যে জায়গায় আছি আমরা, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যখন শেষ হবে, তখন এখান থেকে দুই-তিন ধাপ ওপরে উঠতে পারলে আমি খুশি।’তিনি আরো বলেন, ‘ফল তো আমি না, সারা বাংলাদেশ চায়, আপনারাও চান। টেস্ট খেলতে গেলে দূরদর্শী চিন্তা করতে হবে। প্রথম থেকেই ফল না ভেবে আস্তে আস্তে এগোতে হবে। আমরাও সেভাবেই এগোচ্ছি। এই কারণেই আপনারা হয়তো সামনের সিরিজ বা পরের সিরিজে বুঝতে পারবেন যে, কোন পথে এগোচ্ছে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট।’











