কক্সবাজারের উখিয়ার অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ১১টি বাসযোগে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আরো ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা।
আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৭টি বাসযোগে ও বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পৃথক দু’টি দল কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ভাসানচরের দিকে রওনা দেয়।
সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে মহামারীর কারণে বিরতির পর আবারও শুরু হয় স্থানান্তর প্রক্রিয়া। এটি ভাসানচরগামী রোহিঙ্গাদের সপ্তম দফার কার্যক্রম।
এ দফায় সকালে ৭টি বাসযোগে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন ও বিকালে ৪২ পরিবারের ১২২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসব রোহিঙ্গাদের প্রথমে চট্টগ্রামে নেয়া হবে। পরে সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে করে তাদেরকে ভাসানচরে নেয়া হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা শুরু হয়। এখনও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাদেরকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এই দফায় দুই হাজারজনকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়। ডিসেম্বরে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়েছে।
উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চাপ কমাতে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেখানে তাদের জন্য তৈরি করা হয় আধুনিক ও উন্নত মানের ঘর।
এ দিকে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা নিরাপদ করতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভাসানচরের স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সাথে জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ায় এবার এই প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের মতো এবারও স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবার দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে তবে তাতে কম বেশি হতে পারে বলে জানা গেছে।