নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসেন ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে গতকাল কুমিল্লার দাউদকান্দির টোল প্লাজার সামনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল ও ১৪ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার কনস্টেবল মুন্সীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলিগাতী গ্রামে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম আজাদীকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দির টোল প্লাজার আনসার ক্যাম্পের সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টিম একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলসহ সিএমপির বাকলিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসনকে আটক করে। পরে তার কাঁধে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, লোহাগাড়ার জনৈক শাহ আলমের কাছ থেকে এসব ইয়াবা নিয়ে ঢাকার একটি পার্টির কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় সিএমপির কনস্টেবল আজমীর ও সরবরাহকারী শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিবির এসআই পরিমল চন্দ্র দাস মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।
বাকলিয়া থানার ওসি রাশেদ রাশেদুল হক বলেন, কনস্টেবল মুন্সী আজমীর হোসেন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলিরহাট ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। পরে রেস্ট নেওয়ার কথা বলে ব্যারাকে গেলেও তা করেননি। বিকেলে জানতে পারি তিনি ইয়াবাসহ দাউদকান্দিতে আটক হয়েছেন। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার দায় বাহিনী নেবে না। এই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।