ভাড়া নিয়ে যখন চালক-হেলপারদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে; বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করায় যখন হেলপারের ধাক্কায় যাত্রী বাস থেকে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে; ঠিক তখনই নগরীতে এক বাস মালিক তাঁর মালিকানাধীন বাসগুলোতে ওঠা যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্টিকার টাঙিয়ে দিয়েছেন বাসের সামনেই। অভিনব এ কাজটি তিনি নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই করেছেন বলে আজাদীকে জানিয়েছেন। ওই গাড়িগুলোর মালিকের নাম শামসুল আলম বাবুল। ফটিকছড়ি নিবাসী বাবুল নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার ইছাকের পুল এলাকায় সপরিবারে বাস করেন। তাঁর ছয়টি বাস নগরীর চার নম্বর রোড অর্থাৎ দেওয়ানহাট-নতুন ব্রিজ রোডে চলাচল করে, যেগুলোর নম্বর চট্টমেট্রো চ ৩৫৫৫, চট্টমেট্রো চ ৩৪৮২, চট্টমেট্রো চ ২৩৮২, চট্টমেট্রো চ ৪১৫৪, চট্টমেট্রো জ ১০৭৭ এবং চট্টমেট্রো জ ১৯৯৯। গ্যাসচালিত এসব গাড়িতে তিনি এই স্টিকার লাগিয়েছেন। তাতে লেখা আছে, ‘শ্রদ্ধেয় যাত্রী ভাই, গ্যাসের গাড়ি, বাড়তি ভাড়া দিবেন না।’ ওই স্টিকারে মালিকের একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
শামসুল আলম বাবুল এ প্রসঙ্গে আজাদীকে জানান, তেলের দাম বাড়ানোর পর গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। ডিজেল চালিত পরিবহনের পাশাপাশি সিএনজি চালিত অনেক পরিবহনেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমার বাসগুলো সিএনজি চালিত। এ ছয়টি বাসে যাত্রীদের সাথে যেন আমার চালক কিংবা হেলপারের বাকবিতন্ডা না হয়, তার জন্যই এ কাজটি করেছি। তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিটি গাড়ি থেকে দৈনিক ১৮০০ টাকা করে ভাড়া পাই। এতেই আমি সন্তুষ্ট। সিএনজিচালিত এসব গাড়িতে তেলের দাম বৃদ্ধির কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই চালকদের আমি আগের ভাড়াই নিতে বলেছি। যাত্রীদের উপর জুলুম করবো কেন?