আগামী এক বছরের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর হামিদ চর প্রকল্পের কাজ। যেখানে গড়ে তোলা হবে প্রায় ৪৪টি সরকারি অফিস। ইতিমধ্যে নকশা প্রণয়ের কাজ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের জন্য চলতি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রদর্শন করা হবে।
সমন্বিত নকশা প্রস্তুতের কাজটি সতর্কতার সাথে করা হয়। অনেক বড় প্রকল্প হওয়ায় এ সতর্কতা অবলম্বন। নকশা তৈরিতে পৃথিবীর সুন্দর ও মনোরম যেসব শহর রয়েছে তাদেরকে অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়াও রয়েছে। হামিদ চর প্রকল্পে পুত্রজায়ার ছায়া থাকবে।
এসব তথ্য আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, সমন্বিত সরকারি অফিস প্রকল্পটিকে আমরা ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নাম দিয়েছি। আগামী ১ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আশা করছি, ২০২৪ সালের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমরা নকশা প্রস্তুতের কাজ করে আসছি এবং এক সপ্তাহ আগে তা শেষ করতে সক্ষম হই।
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বন্দর মৌজার কর্ণফুলীর তীরে জেগে ওঠা চরের ১১০ একর জায়গায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে সরকারের এ প্রকল্প। মূলত নগরীর চাপ কমাতে ও সাধারণ মানুষকে এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়। মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম নামের এই প্রকল্পে পরীর পাহাড়ে থাকা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউজসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্যান্য কার্যালয়ও থাকবে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল, মাল্টি স্টোরেড কার পার্কিং, স্কুল-কলেজ, পরিবহন পুল, পেট্রোল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এদিকে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস হামিদ চর পরিদর্শন করেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, দ্রুত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ৪০টির মতো সরকারি অফিস মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সব সরকারি অফিস এক সাথে হামিদ চরে চলে যাবে।