ওয়ানডে বিশ্বকাপের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া অবশেষে পেল টি-টোয়েন্টির ট্রফিও। দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল তারা।
২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই পাত্তা পায়নি নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দারুণ খেলেও শেষ পর্যন্ত ট্রফি জেতা হয়নি বাউন্ডারি কম মারায়। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবার তাদেরকে হতাশা উপহার দিল অস্ট্রেলিয়া। বিডিনিউজ
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭২/৪ (গাপটিল ২৮, মিচেল ১১, উইলিয়ামসন ৮৫, ফিলিপস ১৮, নিশাম ১৩*, সাইফার্ট ৮*; স্টার্ক ৪-০-৬০-০, হেইজেলউড ৪-০-১৬-৩, ম্যাক্সওয়েল ৩-০-২৮-০, কামিন্স ৪-০-২৭-০, জ্যাম্পা ৪-০-২৬-১, মার্শ ১-০-১১-০)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৮.৫ ওভারে ১৭৩/২ (ওয়ার্নার ৫৮, ফিঞ্চ ৫, মার্শ ৭৭*, ম্যাক্সওয়েল ২৮*; বোল্ট ৪-০-১৮-২, সাউদি ৩.৫-০-৪৩-০, মিল্ন ৪-০-৩০-০, সোধি ৩-০-৪০-০, স্যান্টনার ৩-০-২৩-০, নিশাম ১-০-১৫-০)।
টিম সাউদির বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারিতে নিশ্চিত হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার জয়। উইকেটে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গী মিচের মার্শ ডানা মেলে দিলেন। তার সতীর্থরা মেতে উঠলেন বাঁধনহারা উল্লাসে।
৭ বল বাকি রেখে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে অস্ট্রেলিয়া পেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপার স্বাদ।
অ্যারন ফিঞ্চ তৃতীয় ওভারে আউট হলেও দলকে সেই ধাক্কা বুঝতেই দেননি মার্শ। প্রথম বলেই দুর্দান্ত ছক্কায় শুরু, পরের দুই বলে চার। এরপর তাকে আর থামানো যায়নি। মন্থর শুরুর পর জ্বলে ওঠেন ডেভিড ওয়ার্নারও। মার্শ পরে কাজ শেষ করেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে।
৫০ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত মিচেল মার্শ। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ম্যান অব দা ফাইনাল নিশ্চিতভাবেই তিনি। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ১৮ বলে ২৮ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৬.৩ ওভারে ৬৬!