বৃষ্টি ছাড়াই সপ্তাহ ধরে পানির নিচে সড়ক

চকবাজার আবদুল হাকিম লেইন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

প্রায় এক মাস ধরে বৃষ্টি হয়নি। তবু পানিতে তলিয়ে আছে সড়ক! অবিশ্বাস্য হলেও এমন দৃশ্য দেখা গেছে নগরের চকবাজার কাপাসগোলা আবদুল হাকিম লেইনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি জমে আছে সেখানে। এতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি বেড়েছে তাদের। এলাকাটির পাশেই চাকতাই খালে বাঁধ দেয়ায় পানি নামতে পারছে না বলে দাবি করেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে ছিল না। কেউ যদি আমাদের কন্ট্রোল রুমে জানাতেন তাহলে কোথায় সমস্যা সেটা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এখন খতিয়ে দেখে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর ব্যবস্থা নিব।
তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় আমরা বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে কাজ শুরু করেছি। তবে এখন নালায় কোনো কাজ করছি না। চাক্তই খালেও বাঁধ দিয়ে কাজ শুরু করেছি। হতে পারে সেজন্য সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। আবার সিটি কর্পোরেশনও তো অনেক সময় নালায় কাজ করে। তাই না দেখা পর্যন্ত আদুল হাকিম লেইনে কি জন্য সমস্যা হচ্ছে সেটা বলতে পারবো না। এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, আবদুল হাকিম লেইনের হাজী আবুল বশর কমান্ডারের বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে বড়ুয়া ভবনের শেষ অংশ পর্যন্ত সড়কের কয়েকশ ফুট পানি জমে আছে। একটি বাসার নিচের গেইট দিয়েও পানি ঢুকে যায়। শহীদ নামে এক পথচারীর জানান, খালে বাঁধ দিয়ে কাজ করছে। বাঁধটিই পানি যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। কোনো পাইপ দিয়ে হলেও পানি যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
জলিল নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আজাদীকে বলেন, আজ (গতকাল শনিবার) আগের দিনের (শুক্রবার) চেয়ে পানি বেড়েছে। আজ ১০/১২ দিন ধরে রাতের বেলা নালায় কাজ করার আওয়াজ শুনি। হতে পারে সেজন্য সমস্যাটি হচ্ছে। তবে কারা এ কাজ করছে জানি না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই এলাকার বাসিন্দা চট্টগ্রাম কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জেরিন তাসনিম আজাদীকে বলেন, প্রধান সড়ক থেকে কলেজে যাওয়ার গাড়িতে উঠি। প্রধান সড়কে পৌঁছাতে হয় রাস্তায় জমে থাকা নর্দমার পানির মধ্যে হেঁটেই। আসলে এ এলাকায় বসবাসকারীদের দুর্ভোগের শেষ নাই। কি শীত, কি গ্রীষ্ম, কিংবা বর্ষা সব ঋতুতেই নর্দমার কালো পানিতে হেঁটে প্রতিদিনকার কাজ সারতে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের সূর্য না দেখে আমরা রাস্তায় পানি উঠেছে কিনা সেটা দেখি। দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমার পানিতে প্রতিদিন চলাচল করতে এলাকাবাসীর কতটা অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় সেই খবর নিতে কেউ আসে না। দিনের পর দিন দুর্ভোগে থাকলেও দায়িত্বশীল কারও যেন ভ্রুক্ষেপ নেই। মোশাররফ নামে স্থানীয় এক তরুণ বলেন, বর্ষাকালে তো এখানে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে থাকে। বর্ষা চলে গেলেও সেই দুর্ভোগ ও দুর্দশা পিছু ছাড়ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন মান্নান, নারী বিভাগে ফাতেমা
পরবর্তী নিবন্ধবছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ ১৯ নভেম্বর