চট্টগ্রামে ধর্মঘটেও চলেছে বিআরটিসির ৭শ বাস-ট্রাক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে গণ ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়েছে ব্যক্তিগত গাড়িও। ধর্মঘটের মধ্যে নগর ও জেলার বেশিরভাগ সড়কে প্রায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে সিএনজি টেক্সি ও রিকশা। মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের মধ্যে সরকারি পরিবহন সেবা দেওয়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাস-ট্রাক ভাঙচুর ও বাধার মুখে পড়েছে। এর মাঝেও চট্টগ্রামে প্রায় ৭শ বাস-ট্রাক চলাচল করেছে নির্ধারিত গন্তব্যে।
বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ আজাদীকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তারপরও শনিবার সকালে বহদ্দারহাট এলাকায় ঢিল ছুড়ে বিআরটিসির একটি বাসে গ্লাস ভেঙেছে দুর্বৃত্তরা। টাইগারপাস মোড়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রুটের হাটহাজারীতে আটকে দেওয়া হয় বিআরটিসির বাস। তবে পটিয়া গাছবাড়িয়া রুটে কোনো ঝামেলা হয়নি।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে বাস বের করার পর নগরীর রাস্তায় বাধা পেয়ে অনেক বাস ডিপোতে ফিরে এসেছিল। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে প্রায় সব বাস রুটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, আমিরাবাদ, গাছবাড়িয়া এবং নগরীর বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির প্রায় ৭০টির মতো বাস চলাচল করে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম ট্রাক ডিপোর অধীনে চট্টগ্রামে প্রায় ৬ শতাধিক ট্রাক চাল ও সার পরিবহন করে।
চট্টগ্রাম ট্রাক ডিপোর ম্যানেজার মো. মফিজ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেও বিআরটিসির ট্রাকগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে। তবে রাস্তায় রাস্তায় বাধার সম্মুখীন হয়েছে ট্রাকগুলো। আমাদের ট্রাকের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া ছিল, সড়কে বাধা পড়লে সরকারি সম্পদের বিষয়টি প্রতিবাদকারী শ্রমিকদের জানিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো। শনিবার প্রায় ২৭৯টি ট্রাক বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় থাকা ট্রাকগুলো যথানিয়মে চট্টগ্রামে ফিরে আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতেলের দাম যে বেড়েছে, এটাই শেষ নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধএকসাথে খেলা, মৃত্যুও একসাথে