বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী আরাকান সড়কের সাথে সংযুক্ত দুটি র্যাম্পে ‘ফাটল’ দেখতে পায় নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) গঠিত ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ কমিটিও। দুই সদেস্যর কমিটি গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান। অবশ্য গতকাল সিটি কর্র্পোরেশনকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি। আজ বুধবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বন্ধ থাকা র্যাম্পটিতে যান চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে চসিক। এর আগে পরিদর্শন শেষে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্টস লিমিটেড জানিয়েছিল, ‘এটা ফাটল নয়। কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট’।
র্যাম্পটির দুটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়ার সংবাদ প্রচার হলে গত ২৫ অক্টোবর রাত ১১ টা থেকে সেখানে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় চসিক। পরবর্তীতে মেয়রের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর একটি নিরপেক্ষ তদন্ত ককিটি গঠন করে চসিক। কমিটির সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রহমান ভূঁইয়া এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান। তারা গতকাল র্যাম্পটি পরিদর্শন করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রহমান ভূঁইয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, দ্রুত রিপোর্ট জমা দেব। প্রাথমিকভাবে যেটা দেখেছি তাতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দেখেছি। ওখানে কনস্ট্রকশন জয়েন্টে ফোম ছিল সেগুলো সরে গেছে। যার জন্য ক্র্যাকের মত মনে হচ্ছে। আসলে ওখানে কোনো ক্র্যাক নেই।
যান চলাচলের জন্য র্যাম্প খুলে দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক আজাদীকে কলেন, প্রতিবেদন এখনো পাইনি। পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নেব।