স্বপ্ন দেখা কি দোষের? আসলে, স্বপ্নই তো বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে। ধনী, গরিব, ছোট বড়, সবাই স্বপ্ন দেখে, এ যে মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কিন্তু কারো স্বপ্ন সত্যি হয়, কারো স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কেউ নিজের প্রচেষ্টায় স্বপ্নকে সত্যি করে তুলে, আবার অনেকে অনেক চেষ্টা করেও স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না, ব্যর্থ হয়। যার যতটুকু সামর্থ্য ততটুকু নিয়ে স্বপ্ন দেখা উচিত। যেটা ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, তেমন স্বপ্ন দেখা বোকামি ছাড়া আর কি? অনেকে বলে স্বপ্ন যখন দেখবোই তখন কোটি টাকার স্বপ্ন কেন দেখবো না? একদম ঠিক, কিন্তু ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা কি উচিত? এতে যে স্বপ্ন পূরণ না হলে মন ভেঙে পড়বে। আশাহত হওয়া অনেক কষ্টের। কখনো কখনো স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে মানুষ লোভী হয়ে পড়ে, তখন মানুষ খারাপ পথে নেমে যায়। লোভ থেকে আসে অসৎ পথে টাকা রোজগারের চিন্তা। এরপর হিংসা, অহংকার, এগুলো এসে ভর করে। ভালো মানুষকে বানিয়ে দেয় খারাপ লোক, আর মানুষ অনৈতিক কাজেও লিপ্ত হতে থাকে তখন। আদিম যুগে যখন টাকা আবিষ্কার হয়নি, তখন মানুষ খুব ভালো ছিলো, যেই টাকা আসলো মানুষের হাতে, অমনি টাকার সাথে সাথে শয়তানও এসে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার, মারামারি, সন্ত্রাস সব একে একে এনে দিলো মানুষের ভেতরে। তাই স্বপ্ন দেখা ভালো তবে সাধ্য অনুযায়ী। ভালোর সাথে খারাপ থাকবেই। সমস্যা হয়, মানুষ ভালোটা নেয় কম,আর খারাপ টা নেয় বেশি। শোনা কথাই মানুষ বেশি বিশ্বাস করে। আর বাস্তবটা মেনে নেয় অনেক পরে। সত্যিকার গুণীরা তাদের মেধা কে ভেতরে ধারণ করে বাইরে খুবই সাধারণ থাকেন। তবু তাদের উপমাই আসে সব ক্ষেত্রে। আর কাচের মতো কম জ্ঞানীরা বেশ আওয়াজ করে শোনান, কত বেশি জানেন ওরা? কত পারদর্শী ওরা সব বিষয়ে। ফুলের সুবাস ফুলের কাছে গিয়ে নিতে হয় না, বাতাসেই ভেসে মানুষের কাছে গিয়ে সুবাসিত করে তোলে মানুষকে ও তার চারপাশকে।