পৃথিবীতে সবাই আজব! একই ঘরে মা বাবা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী এমনকি কাজের লোক পিয়ন দারওয়ান সবাই আলাদা সত্তা! ইচ্ছে ভাবনা কাজ মান অভিমান প্রয়োজন সব সব আলাদা! আমরা কারো সমস্যার কথা তাদের মত করে দেখি না! সকলেই নিজের মত করেই সকলকে বোঝাতে, সব চালাতে চাই! আপন দৃষ্টিতে নিজেকেই সঠিক মনে করি অন্যকেও সেভাবে চালাতে চাই! শেষমেষ কিছুই মিলে না! তাও আমরা ঝুঁকি না। গোঁ ধরে থাকি যে আমিই ঠিক! তোমার বোঝার ভুল বা তুমি জানো না! এমন করেই ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকে দূরত্ব! সবার মধ্যেই জমাট বাঁধা অভিমান নিরেট হতে থাকে। আর থাকে ইগো নামের বিশাল দেয়াল যা ধীরে ধীরে আরো বিশাল হিমালয়ে পরিবর্তিত হয়ে যায়! মানব জীবন তার তলে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে, সুখ ভালোবাসা থেকে! ভুলের বোঝা আলাদা করে দেয় দুজন মানুষকে! টুকরো হয়ে যায় প্রিয়জন! অসহায় এলোমেলো হয়েযায় বাচ্চারা। তৈরি হয় রাগী অভিমানী বিদ্রোহী এক প্রজন্ম। ভঙ্গুর হতে থাকি আমরা ভেতরে বাইরে সবদিক থেকে! পুনরায় তৈরি হয় আর এক অসহিষ্ণু পরিবার! পুনরায় ভাঙনের সেই পুরোনো ব্যথা ক্ষত আঘাত বিচ্ছেদ! কে দেখাবে মুক্তির পথ! সামাজিক এই সমস্যায় কে হবে অবতার! সকলেই আপন দুঃখে দুঃখী! ছেলেবেলায় আমার দাদু একটা গল্প বলেছিলেন যে “ছাগলের তিনচার বাচ্চা একত্রে দুধ খায় টানাটানি করে, এতে বাচ্চারাও ঠিক মত দুধ পায় না মা ছাগলও কষ্ট পায়” “ছানা বলে আহা খেয়ে সুখ না পাই/ ছাগী বলে আমি তো প্রাণেই মরে যাই” তার মানে সকলেই নিজ নিজ ব্যথায় মগ্ন অন্যের ব্যথা অনুভব করার ফুরসত নেই! আহারে কবে হবে আমার ওই মন যেই মন তোমার কষ্ট বুঝে কাঁদবে! আসুন আমরা শুভকামনায় ব্রতী হই। আসুন আমরা যুক্ত হয়ে বাঁচি, একে অপরের হাত ধরে সাহায্য, সহানুভূতি, ভালোবাসায় জীবন যাপন করি! পরিবার সমাজ তৈরি করি।