ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

চিকিৎসক স্ত্রীর যৌতুকের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

যৌতুক চেয়ে মারধর করা হয়েছে, এমন অভিযোগে এক চিকিৎসক স্ত্রীর করা মামলায় তার স্বামী ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন আজাদীকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট চিকিৎসক সোনিয়া সামাদ তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেন। সেদিনই বিচারক মিরসরাই উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহের আফরোজ গত ২৬ অক্টোবর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বুধবার আদালত সার্জেন্ট ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, আদালতে দেওয়া অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, চিকিৎসক সোনিয়া সামাদ ও সার্জেন্ট ইকবাল দুজনই পূর্বে বিবাহিত ছিল। তারা একে অপরের সম্পর্কে জেনে শুনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং উভয়ের সম্মতিতে ১১ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ইকবাল সোনিয়ার ব্যবহৃত গাড়ি ও তার সাভারের বাড়িটি তার (ইকবাল) নামে লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন এবং মারধর করেন।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক সোনিয়া সামাদ ঢাকার সাভারের বাসিন্দা। সীতাকুণ্ডের জোরারগঞ্জের খান সিটি সেন্টারে তার অফিস। অন্যদিকে ইকবাল হোসেন চাদপুরের বাসিন্দা। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবুলের নারাজি আবেদনের শুনানি, আদেশ ৩ নভেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা