চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেছেন, নদী ভালো থাকলে ডলফিন ভালো থাকবে, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। হালদা নদী দেশের অনন্য ও অসাধারণ সম্পদ। এই নদী রক্ষা করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। ডলফিন জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করে থাকে। তাই এদের রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য হালদা নদীর দুই পাড়ের অধিবাসী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে একসাথে আন্তরিক হতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক মিঠা পানির ডলফিন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উপজেলার গড়দুয়ারা ড. শহীদুল্লাহ একাডেমি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হালদা গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রানীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, পৃথিবীতে সাত প্রজাতির ডলফিন রয়েছে। হালদা, কর্ণফুলী ও সাঙ্গু নদীতে যে জাতীয় ডলফিন রয়েছে তাকে গাঙ্গেয় ডলফিন বলা হয়। ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত হালদা নদীতে ৩২টি ডলফিন মারা গেছে। এরমধ্যে মাত্র কয়েকটি বয়সের কারণে মারা গেছে। বাকীগুলো মারা গেছে আঘাত জনিত কারণে। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ. স. ম জামশেদ খন্দকার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।