৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার

শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ঝর্ণাপাড়া এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পিতাপুত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার তাদের মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে শুক্রবার রাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ঝর্ণাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ মিতুলের (১৯) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উক্ত তরুণী ঢাকার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সেমিস্টারে পড়ালেখা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া জুনায়েদ মিতুল প্রায় সময় তরুণীদের বাসার নিচে ময়লার স্তুপ রেখে যেত। এ নিয়ে তরুণীর পিতা প্রতিবাদ করলে গ্রেপ্তার হওয়া জসিম উদ্দিন ধমক দিত। শুক্রবার সকাল ১১টায় অনলাইন ক্লাস করার সময় ধৃত আসামি মিতুল তরুণীর বাসার নিচে খেলাধুলাসহ শোর চিৎকার করতে থাকে। এতে অনলাইন ক্লাস করতে অসুবিধা হওয়ায় মেয়ের বাবা বাসার নিচে গিয়ে জুনায়েদ মিতুলকে খেলাধুলা বন্ধ করতে বলেন। এরপর মিতুলের বাবা জসিম উদ্দিন এসে তরুণীর বাবাকে গালমন্দ করেন। এসময় বাধা দেয়া তরুণীর ভাইকে মারধর করা হয়। পরে তরুণী বাসার নিচে এসে আসামিদের কর্মকাণ্ড মোবাইলে রেকর্ড করলে মিতুল তরুণীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় আসামি মিতুল তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ভিকটিম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তরুণী বলেন, ‘অনলাইন ক্লাস করার অসুবিধা হওয়ায় আবার বাবা বাসার নিচে গিয়ে জুনায়েদ মিতুলকে খেলাধুলা না করতে বলেন। এ সময় জুনায়েদ মিতুলের বাবা এসে আমার বাবাকে গালমন্দ করেন। এসময় তারা আমাদের উপর হামলা করলে আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।’
এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার এসআই আহলাদ ইবনে জামিল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ভিকটিম অনলাইনে ক্লাস করার সময় আসামি মিতুল তাদের বাসার নিচে খেলাধুলা করছিল। পড়াশুনায় অসুবিধা হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার তাদের খেলতে বারণ করেন। এসময় আসামিরা ভিকটিমের ঘরের দিকে ইট-পাটকেল মারে। ইটপাটকেল মারার দৃশ্য ভিডিও করলে ভিকটিমের হাত থেকে মোবাইল নিয়ে আসামি মিতুল ভেঙ্গে ফেলে এবং ভিকটিমের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। বিষয়টি আমরা খবর পেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভিকটিম তরুণী। এ মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর নিয়ে মেয়রের স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধ৫ লক্ষাধিক ডোজ টিকা আসছে চট্টগ্রামে