ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তায় সরকারের একগুচ্ছ পদক্ষেপ

| শনিবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রতিক সহিংসতার পর ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ সহায়তা, খাদ্য, কাপড়, অন্যান্য নিত্যপণ্য এবং গৃহ নির্মাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছেন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। হিন্দু সমপ্রদায়ের মনোবল বাড়াতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও তাদের সহায়তা করছেন বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, সংসদ সদস্য, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এলাকায় এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি শান্তি-সম্মেলন, শান্তি-মিছিল ও সভা করছে তাদের নেতাকর্মীরা। শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে সামপ্রদায়িক সহিংসতা বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ, খাদ্য-বস্ত্র দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি টিম দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করবে বলে জানান বিপ্লব বড়ুয়া। এদিকে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং জেলার জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার ও নিজ নিজ এলাকায় সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে যথাযথভাবে দায়িত্বপালনের নির্দেশ দিয়েছে। রোববার এ বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল সভা করবে মন্ত্রণালয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান রংপুরের পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শিশু খাদ্য, গো-খাদ্যের পাশাপাশি নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলোকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ঘর নির্মাণে ১০০ বান্ডেল টিন, নগদ চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং এক হাজার ২০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন। রংপুর জেলা প্রশাসনও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নয় লাখ টাকার নগদ অর্থ ও ১০০ বান্ডেল টিন দিয়েছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তাৎক্ষণিকভাবে গৃহহীনদের আশ্রয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তাবু স্থাপন করেছে। তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং প্রতিটি পরিবারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল সহায়তা দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর ক্ষতি ৪০ হাজার কোটি!
পরবর্তী নিবন্ধপঞ্চ গীতিকবির গানে মুগ্ধতা