মুনিরীয়ার মাহফিলে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ বলেন-প্রিয় রাসুল (দ.) এর আগমনেই পূর্ণতা পায় দ্বীন ইসলাম। অন্ধকার যুগ তথা আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগকে স্বর্ণযুগে পরিণত করেছিলেন মহানবী (দ.)। শিরক এর গভীরে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের তাওহিদের সামিয়ানার নিচে এনেছিলেন প্রিয় রাসুল (দ.)। সমাজের প্রতিটি স্তরে এমনভাবে পরিবর্তন করেছিলেন মজলুম ফিরে পেয়েছিল অধিকার, হতাশায় আচ্ছন্ন মানুষ পেয়েছিলো বেঁচে থাকার মত আশার আলো, দুনিয়ার যত বিভেদ ও বৈষম্য সব দূর করেছিলেন আপন মহিমায় মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে। পৃথিবী বদলে দেয়ার এই মিশন ও ভিশন কোনো কালেই সহজ ছিলো না। সীমাহীন ত্যাগ ও কুরবানির বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহান আল্লাহর দ্বীনকে।
গতকাল মঙ্গলবার বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার কমপ্লেক্সে ৬৮ তম জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া দরবারের মহান মোর্শেদ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী (মা.জি.আ.) এসব কথা বলেন।
বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র খতমে কোরআন, সাংগঠনিক আলোচনা, বাদে আছর ফয়েজ-এ কোরআন, বাদে মাগরিব মোরাকাবা,পবিত্র নাতে মোস্তফা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। বাদে এশা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ, কিয়াম, আখেরী মোনাজাত ও তবারুক বিতরণ।
শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিঞ্জপ্তি।












