দুদিন পরও হয়নি মামলা

ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা

কাপ্তাই প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হবার ২দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি বলে জানান চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী। তিনি গতকাল সোমবার এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা মৃতের পরিবারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি। তবে মামলা করা হবে বলে নিহতের ছেলে থানাকে অবহিত করেছে। সন্ত্রাসীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
উল্ল্লেখ্য, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবার কথা ছিল আগামী ১১ নভেম্বর। নেথোয়াই মারমা চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি এবার নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবার জন্য দলীয় মনোনয়নও পেয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর নেথোয়াই মারমা সমর্থকদের সাথে নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। রাত ১২টার সময় তিনি নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।
নেথোয়াই মারমার মৃত্যুর কারণে চিৎমরম ইউনিয়নের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। ১১ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৮ নভেম্বর চিৎমরম ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে উপজেলার অপর ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ যথাক্রমে ২নং রাইখালী, ৪ নং কাপ্তাই এবং ৫ ওয়াগ্‌গা ইউনিয়নে নির্ধারিত তারিখ ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান। ২ নং রাইখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন ৪জন। সদস্য প্রার্থী ২৭ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ২ জন, সদস্য পদে ২৬ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ৫ নং ওয়াগ্‌গা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সদস্য পদে ২০ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় এই ইউনিয়নে ৬ মাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে চিৎমরম ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্মমভাবে নিহত হবার পর অন্যান্য ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্য কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিনা এই ভয়ে সবাই আতঙ্কিত আছেন। কেউ কেউ এখন নিজের বাড়িতে অবস্থান না করে অন্যত্র রাত্রি যাপন করছেন বলেও জানা গেছে। তবে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশি টহল জোরদার করার পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর টহলও বাড়ানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ১ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫
পরবর্তী নিবন্ধরামগড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হলেন কামাল